Featured Post

মাউন্ট এভারেস্টের অজানা রহস্য।। বাংলাদেশ

মাউন্ট এভারেস্টের অজানা রহস্য।। বাংলাদেশ - তথ্য সূত্র ইন্টারনেট মিডিয়া  ছবি- মাউন্ট এভারেস্ট  মাউন্ট এভারেস্টের তথ্য - পরিচিত, বিশ্বের  সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ । এই শৃঙ্গটি  হিমালয়ের   মহালঙ্গুর হিমাল  পর্বতমালায় অবস্থিত। [ ৩ ] [ ৪ ]  সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৯ ফু) হলেও পৃথিবীর কেন্দ্র হতে এই শৃঙ্গের দূরত্ব সর্বাধিক নয়। [ ৫ ]   চীন  ও  নেপালের  আন্তর্জাতিক সীমান্ত এভারেস্ট পর্বতের শীর্ষবিন্দু দিয়ে গেছে।  এভারেস্ট বিজয়ী মূসা ইব্রাহিম জানিয়েছেন এভারেস্ট শৃঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হলো ৩০ ফুট ও ৬ ফুট। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে  ভারতের মহান ত্রিকোণমিতিক সর্বেক্ষণের  ফলে এভারেস্ট পর্বতের (যা তৎকালীন যুগে ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গ নামে পরিচিত ছিল) উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮,৮৪০ মি (২৯,০০২ ফু)।  ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে  ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল   অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর  সুপারিশে  রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি  তার পূর্বসূরী  জর্জ এভারেস্টের  ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গর নাম পরিবর্তন করে...

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব: বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কি এটি গ্রহণযোগ্য? bd news today

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব: বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কি এটি গ্রহণযোগ্য?

"নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং ভোটের মান বৃদ্ধি করতে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি কি হতে পারে একটি কার্যকর সমাধান?"




বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ফাইল ছবি 

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি বা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) পদ্ধতি একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা, যেখানে রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে তাদের আসন নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় বিজয়ী প্রার্থী তার এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভোটপ্রাপ্ত হয়েই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে, যা ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (FPTP) নামে পরিচিত। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই পদ্ধতিতে অনেক ভোটদাতার মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না, কারণ একাধিক দল ভোট পেলেও শুধুমাত্র সর্বাধিক ভোট পাওয়া প্রার্থীই নির্বাচিত হয়। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি গ্রহণ করলে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে বিভিন্ন দলের জন্য পার্লামেন্টে আসন বরাদ্দ করা হবে, যা প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। তবে এর সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করে বাংলাদেশে এই পরিবর্তনকে স্বচ্ছ ও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার সক্ষমতার ওপর, কারণ এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে পারে।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বদল সমুহ 

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে বিভিন্ন দলকে তাদের প্রাপ্ত মোট ভোটের ভিত্তিতে আসন দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে ছোট দলগুলোর জন্যও প্রতিনিধিত্বের সুযোগ থাকে, যা দলগুলোর বৈচিত্র্য এবং অংশগ্রহণ বাড়ায়। বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি গ্রহণ করা হলে নিম্নলিখিত বিভিন্ন ধরনের দল এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

1. **বড় রাজনৈতিক দল**: আওয়ামী লীগ, বিএনপি-এর মতো বৃহৎ দলগুলো, যাদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে আরও বেশি আসন পেতে পারে, তবে তাদের একচ্ছত্র ক্ষমতা কিছুটা কমে যেতে পারে।

2. **ছোট ও আঞ্চলিক দল**: জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ বা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মতো ছোট ও আঞ্চলিক দলগুলো ভোটের প্রাপ্তির ভিত্তিতে আসন পেতে পারে, যা তাদের প্রভাব বাড়াবে।

3. **বামপন্থী ও প্রগতিশীল দল**: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ইত্যাদি বামপন্থী দলগুলো সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বে আরো বেশি প্রতিনিধিত্ব পেতে পারে, যা তাদের মতাদর্শকে সামনে আনতে সহায়ক হবে।

4. **স্বাধীন ও নতুন দল**: সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় নতুন দল ও নির্দলীয় প্রার্থীদেরও অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ে, যা রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন ধারার সৃষ্টি করতে পারে। 

এই পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বহুমাত্রিক মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে পারে, যা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে।

সংখ্যানুপাতিক প্রতিসংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন কি সম্ভব?

আনুপাতিক নির্বাচন কি  
বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করছে একাধিক বিষয়ের ওপর। প্রথমত, এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হলে রাজনৈতিক দলগুলোর আসন প্রাপ্তি তাদের মোট ভোটের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে, যা ভোটারদের মতামত আরও যথাযথভাবে প্রতিফলিত করবে। এতে বিভিন্ন ছোট দলও আসন পেতে পারে, ফলে রাজনীতিতে বৈচিত্র্য ও অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে। অনেক ভোটার মনে করেন, ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (FPTP) পদ্ধতিতে তাদের মতামত সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয় না; তাই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির প্রতি একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হতে পারে।

তবে এই পদ্ধতি নিয়ে কিছু সংশয়ও রয়েছে। বিশেষ করে, এটি কার্যকর করতে অনেক আইনি এবং প্রশাসনিক পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে, যা সময়সাপেক্ষ এবং রাজনৈতিক মতভেদ তৈরি করতে পারে। এছাড়া, বিভিন্ন ছোট দলের জন্য আসন বরাদ্দ হলে সরকার গঠন ও স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, যা রাজনীতিতে একধরনের জটিলতা তৈরি করতে পারে।

অতএব, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে যদি তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এবং এর ফলে নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও জনমতের যথাযথ প্রতিফলন নিশ্চিত করা যায়। তবে এটি বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পর্যাপ্ত আলোচনা প্রয়োজন।

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা PR) এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা, যেখানে দলগুলো তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে সংসদে আসন পায়। বাংলাদেশে বর্তমানে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (FPTP) পদ্ধতি চালু রয়েছে, যেখানে একক প্রার্থী সর্বাধিক ভোট পেলেই নির্বাচিত হয়। এই পদ্ধতিতে ভোটের একটি বড় অংশ প্রতিফলিত হয় না, কারণ কেবলমাত্র বিজয়ী প্রার্থীর ভোট সংখ্যাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এর ফলে অনেক ভোটদাতা ও ছোট দলের সমর্থকদের মতামত সম্পূর্ণ উপেক্ষিত থাকে।

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি গ্রহণ করলে নির্বাচনে প্রতিটি ভোটের মূল্যায়ন বাড়বে এবং জনগণের প্রকৃত মতামতের ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। বিভিন্ন দল ও মতামতের প্রতিনিধিত্ব থাকলে সংসদও হবে বৈচিত্র্যময় এবং তা রাজনৈতিক ভারসাম্য আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে ছোট দলগুলো ও বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হবে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। 

তবে, এই পদ্ধতির কার্যকর বাস্তবায়ন এবং এর সুবিধা-অসুবিধা বিচার করে পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে PR পদ্ধতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বের মান বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।


মন্তব্যসমূহ