Featured Post

মাউন্ট এভারেস্টের অজানা রহস্য।। বাংলাদেশ

মাউন্ট এভারেস্টের অজানা রহস্য।। বাংলাদেশ - তথ্য সূত্র ইন্টারনেট মিডিয়া  ছবি- মাউন্ট এভারেস্ট  মাউন্ট এভারেস্টের তথ্য - পরিচিত, বিশ্বের  সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ । এই শৃঙ্গটি  হিমালয়ের   মহালঙ্গুর হিমাল  পর্বতমালায় অবস্থিত। [ ৩ ] [ ৪ ]  সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৯ ফু) হলেও পৃথিবীর কেন্দ্র হতে এই শৃঙ্গের দূরত্ব সর্বাধিক নয়। [ ৫ ]   চীন  ও  নেপালের  আন্তর্জাতিক সীমান্ত এভারেস্ট পর্বতের শীর্ষবিন্দু দিয়ে গেছে।  এভারেস্ট বিজয়ী মূসা ইব্রাহিম জানিয়েছেন এভারেস্ট শৃঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হলো ৩০ ফুট ও ৬ ফুট। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে  ভারতের মহান ত্রিকোণমিতিক সর্বেক্ষণের  ফলে এভারেস্ট পর্বতের (যা তৎকালীন যুগে ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গ নামে পরিচিত ছিল) উচ্চতা নির্ণয় করা হয় ৮,৮৪০ মি (২৯,০০২ ফু)।  ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দে  ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল   অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর  সুপারিশে  রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি  তার পূর্বসূরী  জর্জ এভারেস্টের  ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গর নাম পরিবর্তন করে...

আজকের ব্রয়লার মুরগির দাম ২০২৫। শ্রক্রুবার

 



ছবি মুরগি 


আজকের ব্রয়লার মুরগির দাম ২০২৫

আজকের ব্রয়লার মুরগির বাজার দর স্থানভেদে ভিন্ন হতে পারে। বর্তমানে খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকার মধ্যে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মুরগির দাম ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। বড় ফার্ম থেকে কিনলে দামে আরও কিছুটা সাশ্রয় হতে পারে।

এছাড়া সোনালী মুরগির দাম প্রতি কেজি প্রায় ৪০০ টাকা এবং দেশি মুরগির দাম ৫৫০ থেকে ৭২০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

বাজারে দামের এই ওঠানামা চাহিদা ও সরবরাহের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। বিস্তারিত জানতে বা নিয়মিত আপডেট পেতে স্থানীয় বাজার বা অনলাইন মাধ্যম পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

তথ্যের উৎস: Pro Facts BD, Fact Bangla, এবং C athannel 24 BD【14†source】【15†source】【17†source】।


সবচেয়ে বড় জাতের মুরগি 

বিশ্বে সবচেয়ে বড় জাতের মুরগি হলো **জার্সি জায়ান্ট (Jersey Giant)**। এটি একটি আমেরিকান মুরগির জাত, যা ১৮৭০ সালে নিউ জার্সিতে উন্নত করা হয়েছিল। জার্সি জায়ান্ট মুরগি মূলত মাংসের জন্য উৎপাদন করা হয় এবং এর বড় আকারের জন্য এটি বিখ্যাত।


### **জার্সি জায়ান্ট সম্পর্কে কিছু বৈশিষ্ট্য:**

1. **ওজন:**  

   - পুরুষ (মোরগ): ৬.৮ থেকে ৭.৫ কেজি।  

   - নারী (মুরগি): ৪.৫ থেকে ৫.৫ কেজি।  


2. **দৈর্ঘ্য ও গঠন:**  

   জার্সি জায়ান্ট মুরগি সাধারণত লম্বা এবং ভারি গঠনের হয়। এর শক্তিশালী পা এবং বড় পাখা এটিকে আলাদা করে তোলে।  


3. **রঙ:**  

   জার্সি জায়ান্ট সাধারণত তিনটি রঙে পাওয়া যায়—কালো, সাদা, এবং নীলাভ।  


4. **ডিম পাড়ার ক্ষমতা:**  

   যদিও এটি মাংসের জন্য বিখ্যাত, তবে এটি বছরে প্রায় ১৫০-২০০টি বড় সাদা বা বাদামি রঙের ডিম পাড়ে।  



উন্নত জাতের দেশি মুরগি 



5. **বেড়ে ওঠার সময়:**  

   অন্য অনেক জাতের তুলনায় জার্সি জায়ান্ট মুরগি ধীরে বেড়ে ওঠে, তবে পূর্ণবয়স্ক হলে এটি আকার এবং ওজনে চমকপ্রদ হয়ে ওঠে।  


### **আরও বড় জাতের মুরগির উদাহরণ:**

- **ব্রাহমা (Brahma):**  

  এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম জাত, যেখানে পুরুষ মোরগের ওজন প্রায় ৫.৫ থেকে ৬ কেজি এবং নারী মুরগির ওজন ৪.৫ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত হয়।  

- **অরপিংটন (Orpington):**  

  ইংল্যান্ডের এই জাতও বড় এবং ভারি, বিশেষত তাদের মাংস ও ডিম উৎপাদনের জন্য জনপ্রিয়।  


### **উপসংহার:**  

জার্সি জায়ান্ট মুরগি আকার ও ওজনে বিশ্বে অনন্য। তবে এর উৎপাদন ও পালন খরচ তুলনামূলক বেশি। এটি বাণিজ্যিক ফার্মের চেয়ে ছোট ফার্ম এবং শৌখিন পালনকারীদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।  


উন্নত জাতের দেশি মুরগি 

উন্নত জাতের দেশি মুরগি বলতে এমন মুরগিগুলোকে বোঝানো হয় যেগুলো স্থানীয় প্রজাতি হলেও আধুনিক প্রজনন পদ্ধতি ও সঠিক যত্নের মাধ্যমে উন্নত করা হয়েছে। এগুলো স্থানীয় জাতের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পায়, বেশি ডিম পাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় উন্নত জাতের দেশি মুরগি হলো:


---


### **১. সোনালী মুরগি**  

- **উৎপত্তি:** সোনালী মুরগি হলো রোড আইল্যান্ড রেড এবং ফেইমিশ রক জাতের সংকর।  

- **বৈশিষ্ট্য:** 

  - দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং কম খাদ্য গ্রহণ করে।

  - বছরে ১৫০-২০০টি ডিম পাড়ে।  

  - এর মাংস দেশি মুরগির মতো সুস্বাদু এবং বাজারে চাহিদা বেশি।  

- **উপযুক্ত পরিবেশ:** সোনালী মুরগি দেশের বিভিন্ন পরিবেশে পালন করা যায়।


---


### **২. শাইকা মুরগি**  

- **উৎপত্তি:** দেশীয় জাতের উন্নত প্রজনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি।  

- **বৈশিষ্ট্য:** 

  - মাংস ও ডিম উভয়ের জন্য জনপ্রিয়।  

  - বছরে প্রায় ২০০টি ডিম দিতে সক্ষম।  

  - রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত।  


---


### **৩. কবির মুরগি (KABIR)**  

- **উৎপত্তি:** উন্নত জাতের হাইব্রিড মুরগি।  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং কম খরচে লালন পালন সম্ভব।  

  - মাংসের জন্য বেশি জনপ্রিয়।  


---


### **৪. রোড আইল্যান্ড রেড (Rhode Island Red)**  

- **উৎপত্তি:** আমেরিকায় উদ্ভাবিত হলেও বাংলাদেশে জনপ্রিয়।  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - বছরে প্রায় ২৫০-৩০০টি ডিম পাড়ে।  

  - মাংসের স্বাদ ভালো এবং দেশি মুরগির মতো গুণগতমান সম্পন্ন।  


---


### **৫. আসিল মুরগি**  

- **উৎপত্তি:** এটি একটি দেশি জাত। তবে আসিলের উন্নত সংকর জাত তৈরি করা হয়েছে।  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - শক্তিশালী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।  

  - মাংস সুস্বাদু এবং বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়।  


---


### **পালনের সুবিধা**  

- উন্নত জাতের দেশি মুরগি পালন সহজ এবং রোগবালাই তুলনামূলকভাবে কম।  

- কম খরচে দ্রুত লাভ পাওয়া সম্ভব।  

- এগুলো স্থানীয় খাদ্য ও পরিবেশে সহজে মানিয়ে নিতে পারে।  


---


### **উপসংহার**  

উন্নত জাতের দেশি মুরগি পালন কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে। সঠিক যত্ন, খাদ্য, এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে এ ধরনের মুরগি পালন করা উচিত। মুরগির জাত বাছাই করার আগে স্থানীয় আবহাওয়া ও বাজারের চাহিদা বিবেচনা করুন।  


**আরও তথ্যের জন্য**: আপনার নিকটস্থ কৃষি অফিস বা পোলট্রি সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।  


সবচেয়ে বেশি ডিম দেয় কোন মুরগি 


বিশ্বব্যাপী এমন কিছু মুরগির জাত রয়েছে, যেগুলো অত্যন্ত বেশি ডিম পাড়ার জন্য পরিচিত। নিচে সবচেয়ে বেশি ডিম পাড়া মুরগির কয়েকটি জাতের উল্লেখ করা হলো:


---


### **১. লেগহর্ন (Leghorn):**  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিম পাড়া জাত।  

  - প্রতি বছর একটি লেগহর্ন মুরগি ২৮০ থেকে ৩২০টি সাদা রঙের ডিম দিতে পারে।  

  - কম খাবার গ্রহণে ডিম উৎপাদন করে, তাই এটি বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয়।  


---


### **২. রোড আইল্যান্ড রেড (Rhode Island Red):**  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - বছরে ২৫০-৩০০টি বাদামি রঙের ডিম পাড়ে।  

  - এটি শুধু ডিমের জন্য নয়, মাংসের জন্যও পরিচিত।  

  - টেকসই এবং সহজে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।  


---


### **৩. সাসেক্স (Sussex):**  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - একটি সাসেক্স মুরগি বছরে ২৫০টিরও বেশি ডিম দিতে পারে।  

  - এই জাতটি বেশ বড় এবং মাংস উৎপাদনেও ভালো।  


---


### **৪. হাইলাইন (Hy-Line):**  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - এটি একটি হাইব্রিড জাত, যা বছরে প্রায় ৩০০-৩৫০টি ডিম দিতে সক্ষম।  

  - বড় পোলট্রি ফার্মে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়।  


---


### **৫. আইসা ব্রাউন (ISA Brown):**  

- **বৈশিষ্ট্য:**  

  - বছরে ৩০০-৩২০টি ডিম দিতে পারে।  

  - এটি ছোট আকারের হলেও ডিম উৎপাদনে খুব কার্যকর।  


---


### **৬. অস্ট্রালর্প (Australorp):**  

- **বিশেষত্ব:**  

  - এটি একটি রেকর্ডধারী জাত। একটি অস্ট্রালর্প মুরগি এক বছরে ৩৬৪টি ডিম পাড়ার জন্য বিখ্যাত।  

  - এই জাতটি শান্ত স্বভাবের এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো।  


---


### **কৃষি পরামর্শ:**  

ডিম পাড়ার জন্য মুরগি নির্বাচন করার সময় পরিবেশ, খাবার, এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দিতে হবে। অধিক উৎপাদনের জন্য সঠিক জাত নির্বাচন করুন এবং খাদ্য ও যত্ন নিশ্চিত করুন।  


### **উপসংহার:**  

লেগহর্ন এবং আইসা ব্রাউন জাতের মুরগি ডিম উৎপাদনে সবচেয়ে কার্যকর এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। তবে স্থানীয় বাজারের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত জাত নির্বাচন করাই উত্তম।  


ডিম আগে না মুরগি আগে

"ডিম আগে না মুরগি আগে?" এই প্রশ্নটি যুগ যুগ ধরে বিতর্কের বিষয় হয়ে আছে এবং বিজ্ঞান, ধর্ম, এবং দর্শনের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। নিচে এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:  


---


### **বিজ্ঞানভিত্তিক উত্তর:**  

বিজ্ঞানী এবং জীবাশ্মবিদদের মতে, **ডিম আগে এসেছে।**  

1. প্রাণীর বিবর্তনগত ইতিহাসে প্রথমে ডিম এসেছে, কারণ এটি প্রজননের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি।  

2. আধুনিক মুরগির পূর্বপুরুষ পাখিরা ডিম পাড়ত, যা বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তিত হয়ে মুরগিতে রূপান্তরিত হয়েছে।  

3. জেনেটিক মিউটেশনের মাধ্যমে প্রথম মুরগি-জাতীয় প্রাণী একটি বিশেষ ডিম থেকে জন্মায়। ফলে, **ডিম মুরগির আগে এসেছে।**  


---


### **ধর্মীয় বা দার্শনিক উত্তর:**  

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, বিশেষ করে সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী:  

- ইসলাম, খ্রিস্টান, এবং ইহুদি ধর্মমতে, পৃথিবীতে জীবনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ বা ঈশ্বর প্রথমে প্রাণীদের সৃষ্টি করেছেন। সেক্ষেত্রে বলা যায়, **মুরগি আগে এসেছে।**  

- অনেক দার্শনিকও বিশ্বাস করেন যে, প্রথমে প্রাণী এসেছে, তারপর ডিম।  


---


### **বিবর্তন বনাম সৃষ্টি:**  

1. **বিবর্তনবাদ অনুযায়ী:**  

   ডিমের মাধ্যমে প্রজনন বহু প্রাচীন। এমনকি ডাইনোসর এবং সরীসৃপরাও ডিম পাড়ত। এই ডিমগুলো ধীরে ধীরে এমন একটি পরিবর্তন ঘটায় যা আধুনিক মুরগির জন্ম দেয়।  

2. **সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী:**  

   প্রথম প্রাণী বা মুরগিকে সৃষ্টি করা হয়েছে, যা পরে ডিম পাড়ে।  


---


### **উপসংহার:**  

- **বিজ্ঞান অনুযায়ী:** ডিম আগে।  

- **ধর্মীয় মতে:** মুরগি আগে।  


এই প্রশ্নটি একটি ধাঁধার মতো মনে হলেও, উত্তরটি নির্ভর করে আপনি বিষয়টিকে কীভাবে দেখতে চান তার ওপর। আপনি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে এটি মানবেন?




ব্রয়লার মুরগির দাম

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্রয়লার মুরগির দাম বিভিন্ন স্থানে কিছুটা তারতম্য দেখা যাচ্ছে। নভেম্বর ২০২৪ অনুযায়ী, মুরগির বাজারের আপডেট:

  • পাইকারি বাজার: ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকার মধ্যে রয়েছে।
  • খুচরা বাজার: বিভিন্ন জায়গায় দাম প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
  • বিভিন্ন শহরের দামের ভিন্নতা:
    • ঢাকা: খুচরা ২০০-২১০ টাকা
    • চট্টগ্রাম: খুচরা ১৯০-২০০ টাকা
    • রাজশাহী: খুচরা ১৮০-১৯০ টাকা
    • সিলেট: খুচরা ১৯৫-২০৫ টাকা

মুরগির দাম বৃদ্ধির মূল কারণগুলোর মধ্যে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং চাহিদা বৃদ্ধি অন্যতম। এছাড়াও, ফার্ম বন্ধ হওয়ার ফলে বাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে, যা দামের ওপর প্রভাব ফেলছে【32†source】【33†source】【35†source】।

সোনালি মুরগি

**সোনালি মুরগি** বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্পে একটি জনপ্রিয় সংকর জাত, যা মূলত **রোড আইল্যান্ড রেড (Rhode Island Red)** এবং **ফেইমিশ রক (Fayoumi)** জাতের মিশ্রণে তৈরি। এটি মাংস ও ডিম উভয়ের জন্য চাষ করা হয়। 


---


### **সোনালি মুরগির বৈশিষ্ট্য**

1. **বর্ধন হার:**  

   - সোনালি মুরগি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং খাদ্য খরচ কম।  

   - ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব।  


2. **ওজন:**  

   - ৭-৮ সপ্তাহে একটি সোনালি মোরগের ওজন প্রায় ১.৫-২ কেজি হয়।  


3. **ডিম পাড়া:**  

   - বছরে প্রায় ১৪০-১৬০টি ডিম পাড়ে।  

   - ডিমের খোসা সাধারণত হালকা বাদামি।  


4. **রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:**  

   - স্থানীয় জাতের তুলনায় সোনালি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।  


5. **মাংসের গুণগত মান:**  

   - এর মাংস দেশি মুরগির মতো সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।  

   - বাজারে চাহিদা ও দাম অনেক বেশি।  


---


### **সোনালি মুরগি পালন পদ্ধতি**

1. **বাচ্চার যত্ন:**  

   - প্রথম ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চাগুলোকে উষ্ণ পরিবেশে রাখতে হবে।  

   - মানসম্পন্ন খাদ্য ও ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে হবে।  


2. **খাদ্য:**  

   - বয়স অনুযায়ী সুষম খাদ্য দিতে হবে।  

   - খরচ কমাতে স্থানীয় খাবারের সঙ্গে উন্নত ফিড মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।  


3. **বাজারজাতকরণ:**  

   - বাজারে মাংস ও ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় সঠিক সময়ে মুরগি বিক্রি করলে লাভ বেশি হয়।  


---


### **সোনালি মুরগির দাম**

- সোনালি মুরগির মাংসের বাজার মূল্য ব্রয়লারের চেয়ে বেশি।  

- নভেম্বর ২০২৪ অনুযায়ী, খুচরা বাজারে সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি **৩৮০-৪৫০ টাকা** পর্যন্ত হতে পারে।  


---


### **উপসংহার**

সোনালি মুরগি পালন বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে। সঠিক পরিচর্যা, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, এবং বাজারজাত করার কৌশল গ্রহণ করলে এটি পোলট্রি শিল্পে টেকসই আয়ের উৎস হতে পারে।  


**আরও তথ্যের জন্য:** আপনার স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করুন বা অনলাইন পোলট্রি ফার্মিং ফোরাম চেক করুন।


টাইগার মুরগি

**টাইগার মুরগি** (Tiger Chicken) সাধারণত একটি দেশি বা স্থানীয় মুরগির প্রজাতি হিসেবে পরিচিত নয়। তবে, এটি কিছু বিশেষ প্রকারের মুরগির সাধারণ নাম হতে পারে, বিশেষ করে বিভিন্ন স্থানীয় জাতের মুরগির মধ্যে যেগুলোতে বিশেষ ধরণের রঙ বা বৈশিষ্ট্য থাকে। এতে মুরগির পালকের রঙে "টাইগার" শব্দটির ব্যবহার হতে পারে, যেহেতু কিছু জাতের মুরগির গা dark ় বা হলুদ-বাদামি রঙের প্যাটার্ন টাইগারের মতো দেখতে হয়।


এছাড়া **টাইগার মুরগি** নামটি কখনো কখনো বিশেষ জাত বা সংকর মুরগির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, যা মাংসের জন্য বা বিশেষ ডিম পাড়ার জন্য পরিচিত।


তবে, আপনি যদি টাইগার মুরগি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান, বিশেষত বাজারে এটি কীভাবে পরিচিত বা কোনো বিশেষ জাত হিসেবে কি এর ব্যবহার হয়, তাহলে আরও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে স্থানীয় পোলট্রি বাজার বা ফার্ম থেকে।


**এছাড়াও:** কখনো কখনো "টাইগার মুরগি" নামের অধীনে কিছু লোকাল বা ব্রিড ফার্ম মুরগি বিক্রি করতে পারে, যা একটি স্থানীয় বাজারে জনপ্রিয় হতে পারে।


মুরগির ঝিমানো রোগের ঔষধ

মুরগির **ঝিমানো রোগ** (Yawning Disease), যা সাধারণত **এনসেফালোমাইলাইটিস** নামে পরিচিত, একটি স্নায়বিক রোগ যা মুরগির স্নায়ু পদ্ধতিতে প্রভাব ফেলে। এই রোগে মুরগির সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে ঝিমানো, ঘুরে বেড়ানো, শরীরের অঙ্গসমূহের সঞ্চালনে সমস্যা এবং মাঝে মাঝে অজ্ঞতা বা অচেতন অবস্থাও দেখা যায়। 


এনসেফালোমাইলাইটিসের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা:


### **ঔষধ এবং চিকিৎসা:**

1. **অ্যান্টিবায়োটিক:**  

   এই রোগটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট না হলেও, দ্বিতীয়কভাবে জীবাণু সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিকের পরামর্শ দিতে পারেন। যেমন, **টেট্রাসাইক্লিন** বা **পেনিসিলিন** ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ রোধে ব্যবহৃত হতে পারে।


2. **ভিটামিন A, B12, এবং E**:  

   এই ভিটামিনগুলির সুষম পরিমাণ মুরগির স্নায়ু সিস্টেমের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন E এবং B12 স্নায়ু সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।


3. **বিশেষ সাপ্লিমেন্ট:**  

   ভিটামিন এবং মিনারেল সাপ্লিমেন্ট যেমন **ডাইফেনহাইড্রামাইন** এবং **থায়ামিন** স্নায়ুর কার্যকারিতা সমর্থন করতে পারে। 


4. **স্টেরয়েড:**  

   কিছু ক্ষেত্রে স্নায়ুর প্রদাহ কমাতে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।


5. **বেঞ্চমার্ক ফার্ম ফিড:**  

   সঠিক পুষ্টি দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুস্থ পোলট্রি ফিড মুরগির শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।


### **প্রতিরোধ:**

- সঠিক খাদ্য এবং পরিচর্যা।

- মুরগির পরিবেশে স্যানিটেশন বজায় রাখা, যাতে ভাইরাস বা জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে।

- রোগ শনাক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।


এ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্থানীয় পশু চিকিত্সকের সাথে পরামর্শ করা সবচেয়ে ভালো, যিনি আপনার মুরগির বিশেষ পরিস্থিতি বুঝে সঠিক ওষুধ ও ব্যবস্থাপনা সুপারিশ করবেন।


মুরগির রোস্ট


**মুরগির রোস্ট** একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় খাবার, যা প্রায় সব ধরনের উৎসবে বা বিশেষ দিনের খাবারে পরিবেশন করা হয়। মুরগির রোস্ট তৈরি করার জন্য সাধারণত মুরগির মাংসকে বিভিন্ন মশলা দিয়ে ম্যারিনেট করা হয়, তারপর ভালোভাবে রোস্ট বা গ্রিল করা হয়। নিচে একটি সহজ মুরগির রোস্ট রেসিপি দেওয়া হলো:


### **উপকরণ:**

- মুরগির গা (১ কেজি)

- পেঁয়াজ (২টি, কুঁচি করা)

- রসুন (৫-৬ কোয়া, পেস্ট করা)

- আদা (১ চা চামচ, পেস্ট)

- টমেটো (২টি, কুঁচি করা)

- গোলমরিচ গুঁড়ো (১ চা চামচ)

- হলুদ গুঁড়ো (১/২ চা চামচ)

- দারচিনি গুঁড়ো (১/২ চা চামচ)

- লবণ (স্বাদ অনুযায়ী)

- মধু (১ চা চামচ, ঐচ্ছিক)

- তেল (২ টেবিল চামচ)

- লেবুর রস (১ টেবিল চামচ)


### **প্রস্তুত প্রণালী:**

1. **ম্যারিনেট:**  

   মুরগির গায়ে লবণ, হলুদ, গোলমরিচ, আদা-রসুন পেস্ট, এবং টমেটো কুঁচি দিয়ে ভালোভাবে ম্যারিনেট করুন। এক ঘণ্টা রেখে দিন, যাতে মশলাগুলো মুরগির মাংসে ভালোভাবে মিশে যায়।

   

2. **রোস্টিং:**  

   একটি তাওয়া বা প্যান গরম করুন এবং তাতে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন ভেজে নিন। এরপর টমেটো কুঁচি দিন এবং মশলা ভালোভাবে মিশে গেলে মুরগির টুকরো দিয়ে দিন। মুরগি সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত রোস্ট করুন।


3. **গ্রিল করা:**  

   মুরগির টুকরোগুলোকে তাওয়া থেকে নামিয়ে ১০-১৫ মিনিট গ্রিল করতে পারেন (এটি ঐচ্ছিক)। এতে মুরগি আরও সুস্বাদু ও রেস্তোরাঁর মতো হবে।


4. **পরিবেশন:**  

   প্রস্তুত মুরগির রোস্টটা পছন্দমতো রাইস বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন।


---


এটি একটি সাধারণ রেসিপি, তবে আপনি এর মধ্যে বিভিন্ন মশলা বা উপকরণ যেমন আদা, রসুন, মরিচ বা বিশেষ গরম মসলা যোগ করতে পারেন, যা স্বাদে আরও বৈচিত্র্য আনবে।


লেয়ার মুরগি


**লেয়ার মুরগি** (Layer Chicken) এমন একটি জাত, যা প্রধানত **ডিম** উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়। এই মুরগির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বেশ বেশি ডিম দেয় এবং খুব কম সময়ে বড় হতে পারে। লেয়ার মুরগি প্রধানত বাণিজ্যিকভাবে ডিম উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।


### **লেয়ার মুরগির বৈশিষ্ট্য:**

1. **ডিম উৎপাদন:**  

   লেয়ার মুরগি বছরে প্রায় ৩০০-৩২০টি ডিম পাড়ে, যা অন্যান্য জাতের মুরগির তুলনায় অনেক বেশি। 

   

2. **মাংসের গুণ:**  

   লেয়ার মুরগি সাধারণত মাংসের জন্য খুব জনপ্রিয় নয়, কারণ এটি মাংসে খুব ভালো গুণমানের হয় না। তবে, কিছু ধরনের মাংস উৎপাদনকারী মুরগিও লেয়ার জাতের মধ্যে পাওয়া যায়।


3. **বিভিন্ন জাত:**  

   - **আইসা ব্রাউন (ISA Brown):** সবচেয়ে জনপ্রিয় লেয়ার মুরগির জাত।  

   - **হাইলাইন (Hy-Line):** আরো একটি জনপ্রিয় জাত, যা উচ্চমানের ডিম উৎপাদন করে।  

   - **লেগহর্ন (Leghorn):** ডিম উৎপাদনে কার্যকর, তবে একটু ছোট আকারের।


### **লেয়ার মুরগির পালন:**  

লেয়ার মুরগি পালন করতে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হয়:

- **খাদ্য ও পুষ্টি:** সঠিক খাদ্য ও সুষম পুষ্টি মুরগির ডিম উৎপাদন বাড়ায়।

- **পরিস্কার পরিবেশ:** লেয়ার মুরগির স্বাস্থ্য রক্ষায় পরিস্কার ও সুরক্ষিত পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

- **রোগ প্রতিরোধ:** রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে ভ্যাকসিন ও যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন।


### **বাজারে লেয়ার মুরগির দাম:**  

- **ডিম:** লেয়ার মুরগির ডিম বাজারে সস্তা এবং সহজলভ্য।  

- **মুরগি:** মুরগির দাম স্থানীয় বাজারে প্রায় ১৮০-২২০ টাকা প্রতি কেজি হতে পারে, তবে ডিমের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 


লেয়ার মুরগি ব্যবসা লাভজনক হতে পারে, তবে সঠিক যত্ন এবং খাবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি।






মন্তব্যসমূহ